ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। এটি হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম কম হলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, ফলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া, পেশির সঠিক কাজের জন্যও ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের মধ্যে দুধ, দই, পনির, পালং শাক, বাদাম এবং স্যাম্পল মাছ অন্তর্ভুক্ত। এই খাবারগুলো খেলে শরীর শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ক্যালসিয়াম আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি, কারণ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন আপনার ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?
ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে এবং তাদের সুস্থ রাখে। ক্যালসিয়াম রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং পেশির সংকোচন ও স্নায়ুর কার্যক্রমে সহায়ক। এছাড়া, এটি হৃদপিণ্ডের সুস্থ কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই, দুধ, দই, পনির, শাকসবজি এবং বাদাম জাতীয় খাবার থেকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে?
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আপনার স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি হাড় দুর্বল করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়, যা হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এছাড়া, ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁত ক্ষয় হতে পারে এবং মাংসপেশির সংকোচন ও স্নায়ুর কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। হৃদপিণ্ডের কার্যক্রমও ব্যাহত হতে পারে, কারণ ক্যালসিয়াম হৃদপিণ্ডের পেশির সংকোচনে সহায়ক।
তাই, দুধ, দই, পনির, শাকসবজি এবং বাদাম জাতীয় খাবার থেকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি এড়ানো সম্ভব।
আপনার শরীরের প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম চাহিদা পূরণ করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা জরুরি।
আপনার শরীরের প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম চাহিদা পূরণ করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা খুবই জরুরি। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসে দুধ, দই, পনির, বাদাম, সবুজ শাকসবজি এবং মাছ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই খাবারগুলো ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এছাড়া, ভিটামিন ডি গ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা প্রয়োজন যাতে আপনার শরীর সুস্থ থাকে এবং শক্তিশালী হাড় গঠনে সহায়তা হয়।
আমাদের শরীরের কত ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?
আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম প্রয়োজন বয়স ও অবস্থার উপর নির্ভর করে। সাধারণত, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ১,০০০ থেকে ১,২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়। শিশু এবং কিশোরদের জন্য এই চাহিদা একটু বেশি, কারণ তাদের হাড় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গর্ভবতী এবং স্তন্যদায়ী মায়েদেরও অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়, যা প্রায় ১,২০০ মিলিগ্রাম হতে পারে। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে আমাদের হাড় শক্তিশালী হয় এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি যাতে আমরা আমাদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারি এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে পারি।
ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়
ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য কিছু কার্যকর উপায় আছে যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়। প্রথমত, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, দই, পনির, শাকসবজি (যেমন পালং শাক, ব্রকলি), বাদাম (কাজু, আমন্ড) এবং ছোট মাছ (যেমন সার্ডিন) ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
দ্বিতীয়ত, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত, যেমন ডিমের কুসুম, মাশরুম এবং সূর্যালোক গ্রহণ। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়ক। এছাড়া, ফোর্টিফাইড খাবার যেমন ক্যালসিয়াম যুক্ত সিরিয়াল এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধ (সয়া, বাদাম দুধ) খাওয়া যেতে পারে।
তৃতীয়ত, নিয়মিত ব্যায়াম, বিশেষ করে ওজন বহনকারী ব্যায়াম, হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়। এছাড়া, ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এগুলো ক্যালসিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়।
চতুর্থত, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে, তবে এটি গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারেন এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি এড়ানো সম্ভব।
ক্যালসিয়াম ডোজ
ক্যালসিয়াম ডোজ নির্ধারণ করা হয় বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে। সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন প্রায় ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য এই চাহিদা বেড়ে ১২০০-১৩০০ মিলিগ্রাম হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে, ৯-১৮ বছর বয়সীদের প্রতিদিন প্রায় ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের সময়, এটি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাবারের সাথে বা খাবারের পরে খাওয়া উচিত, কারণ এটি শোষণে সহায়ক। প্রতিদিন ৫০০-৬০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম একবারে গ্রহণ করা উচিত, কারণ শরীর একবারে এর বেশি শোষণ করতে পারে না।
ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে হাইপারক্যালসেমিয়া (রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম) হতে পারে, যা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজ গ্রহণ করা উচিত এবং নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।
ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়ক, তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া, ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এগুলো ক্যালসিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়।
সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার কোনটি?
সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারের মধ্যে দুধ এবং দুধের তৈরি পণ্য যেমন দই ও পনির অন্যতম। এক কাপ গরুর দুধে প্রায় 300 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া, পালং শাক, ব্রোকলি, এবং কলা জাতীয় সবজিতেও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস রয়েছে। বাদাম, বিশেষ করে আলমন্ড এবং তিলের বীজও ক্যালসিয়ামের জন্য উপকারী। মাছের মধ্যে স্যাম্পল মাছ যেমন সার্ডিন এবং সালমনেও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম সরবরাহ হয়, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। তাই এগুলো খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল
সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে এবং পেশী সংকোচন ও নার্ভ ট্রান্সমিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিছু ফল আছে যেগুলো ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। যেমন, কমলা এবং আঙ্গুর। একটি মাঝারি আকারের কমলাতে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। আঙ্গুরও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, যা শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সহায়ক। এছাড়া, বিভিন্ন প্রকারের বেরি যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং রাস্পবেরি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
শুকনো ফলমূল যেমন শুকনো খেজুর, কিশমিশ এবং শুকনো এপ্রিকটেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে¹। এই ফলগুলো সহজেই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সহায়ক।
ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল খাওয়ার পাশাপাশি, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত, কারণ ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়ক। এছাড়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়াতে সহায়ক।
কি কি খাবার খেলে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হয়?
ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে বেশ কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে। কিছু প্রাকৃতিক উৎস হলো:
১. দুগ্ধজাত খাবার:
- দুধ: ক্যালসিয়ামের অন্যতম প্রধান উৎস।
- দই: প্রোবায়োটিক ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
- পনির: বিশেষ করে চেডার ও মোজারেলা পনিরে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে।
২. সবুজ পাতা ও সবজি:
- কলমি শাক: প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে।
- ব্রকলি: ক্যালসিয়ামের জন্য খুবই উপকারী।
- পালং শাক: ক্যালসিয়াম ছাড়াও এটি ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ।
৩. বাদাম ও বীজ:
- বাদাম: বিশেষ করে আমন্ড ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস।
- তিলের বীজ: প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে।
- চিয়া সিড: ক্যালসিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ।
৪. মাছ:
- সার্ডিন: ছোট মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে।
- স্যামন মাছ: বিশেষ করে যদি কাঁটাসহ খাওয়া হয়, তাহলে ভালো ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
৫. সয়াজাত খাবার:
- টোফু: এটি ক্যালসিয়ামের জন্য ভালো উৎস।
- সয়া দুধ: ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ বিকল্প দুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. শক্ত খাবার:
- ফর্টিফাইড খাবার: কিছু সিরিয়াল, রুটি এবং জুসে কৃত্রিমভাবে ক্যালসিয়াম যোগ করা হয়।
এই ধরনের খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হতে পারে।
ক্যালসিয়াম যুক্ত সবজি
ক্যালসিয়াম যুক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সবজির তালিকা ও তাদের বর্ণনা:
- পালং শাক
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ এবং আয়রন রয়েছে। - ব্রোকলি
ব্রোকলি একটি পুষ্টিকর সবজি, যা ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ফাইবার এবং ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। - বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটি সালাদ বা রান্না করে খাওয়া যায় এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। - সরিষা পাতা
সরিষা পাতায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশ ভালো। এটি বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয় এবং এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাগুণ রয়েছে। - কেল (Kale)
কেল একটি শক্তিশালী পুষ্টিগুণসম্পন্ন সবজি, যা উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। - চিচিঙ্গা
চিচিঙ্গাতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত তরকারিতে ব্যবহৃত হয়।
এইসব সবজি নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া সম্ভব।
ক্যালসিয়াম ডি যুক্ত খাবার
ডি ভিটামিন যুক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের তালিকা ও তাদের বর্ণনা:
- মাছ
বিশেষ করে স্যালমন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন মাছগুলো ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ। এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। - ডিম
ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডির ভালো উৎস পাওয়া যায়। এটি সহজেই খাদ্যে ব্যবহার করা যায় এবং প্রোটিনেরও একটি ভালো উৎস। - দুধ ও দুধজাত পণ্য
দুধ, দই এবং পনিরে ভিটামিন ডি থাকে। এগুলো হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। - পোর্টাবেলো মাশরুম
সূর্যের আলোতে উত্পাদিত পোর্টাবেলো মাশরুমে ভিটামিন ডির পরিমাণ বেশি থাকে। এটি সালাদ বা রান্নায় ব্যবহৃত হয়। - ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সিরিয়াল
অনেক ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে ভিটামিন ডি যোগ করা থাকে। সকালে এই ধরনের সিরিয়াল খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। - অর্গানিক সোয়াবীন তেল
সোয়াবীন তেলে কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে যা সালাদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
এইসব খাবার নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব, যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
ক্যালসিয়াম ডি যুক্ত খাবার
ডি ভিটামিন যুক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের তালিকা ও তাদের বর্ণনা:
- মাছ
বিশেষ করে স্যালমন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন মাছগুলো ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ। এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। - ডিম
ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডির ভালো উৎস পাওয়া যায়। এটি সহজেই খাদ্যে ব্যবহার করা যায় এবং প্রোটিনেরও একটি ভালো উৎস। - দুধ ও দুধজাত পণ্য
দুধ, দই এবং পনিরে ভিটামিন ডি থাকে। এগুলো হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। - পোর্টাবেলো মাশরুম
সূর্যের আলোতে উত্পাদিত পোর্টাবেলো মাশরুমে ভিটামিন ডির পরিমাণ বেশি থাকে। এটি সালাদ বা রান্নায় ব্যবহৃত হয়। - ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সিরিয়াল
অনেক ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে ভিটামিন ডি যোগ করা থাকে। সকালে এই ধরনের সিরিয়াল খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। - অর্গানিক সোয়াবীন তেল
সোয়াবীন তেলে কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে যা সালাদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সেরা 10টি খাবার যা প্রত্যেক শিশুরই খাওয়া উচিত
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সেরা ১০টি খাবার যা প্রত্যেক শিশুরই খাওয়া উচিত:
- দুধ
দুধ ক্যালসিয়ামের একটি প্রধান উৎস। এটি হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং শক্তিশালী দাঁত গঠনে সহায়ক। - দই
দইতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও প্রোবায়োটিক থাকে, যা পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী। - পনির
পনির শিশুদের জন্য স্বাদযুক্ত এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। এটি স্যান্ডউইচ বা সালাদের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। - ব্রোকলি
ব্রোকলি ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলেও সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য খুব ভালো। - মাছ
বিশেষ করে সার্ডিন এবং স্যালমন মাছগুলোতে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। - বাদাম
বিশেষ করে কাজু ও আখরোটে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো স্বাস্থ্যকরsnack হিসেবে খাওয়া যায়। - শাকসবজি (যেমন পালং শাক)
পালং শাক এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। এগুলো সালাদ বা রান্নায় ব্যবহার করা যায়। - ছোলা
ছোলাতে প্রচুর প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি বিভিন্ন পদে ব্যবহার করা যায় যেমন চাট বা কারি। - টফু
টফু সোয়াবীন থেকে তৈরি হয় এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটি ভেজিটেরিয়ানদের জন্য একটি ভালো বিকল্প। - ভিটামিন ডি যুক্ত সিরিয়াল
অনেক ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে ক্যালসিয়ামের সাথে সাথে ভিটামিন ডিও যোগ করা থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী।
এই খাবারগুলো শিশুর দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে তাদের হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।