সিপাহী পদে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তে সিপাহী পদে চাকরি করতে আগ্রহী পুরুষ এবং মহিলা উভয় প্রার্থীগণ আবেদন করতে পারবেন। চলুন তাহলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য:
বাহিনীর নাম | বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) |
---|---|
পদের নাম | ১০৪ তম ব্যাচে সিপাহী (জিডি) |
পদের সংখ্যা | অনির্দিষ্ট |
বেতন স্কেল | ৯,০০০-২১,৮০০/- টাকা |
আবেদন ফি | ৫৬/- টাকা |
আবেদন মাধ্যম | এসএমএস (SMS) |
বিজিবিতে সিপাহী পদে চাকরির যোগ্যতা:
জেলা কোটা: সকল জেলা হতে সিপাহী (জিডি) পদের জন্য পুরুষ ও মহিলা প্রার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তি কোটার সংখ্যা সীমিত।
বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত (তালাকপ্রাপ্ত নয়)।
বয়সসীমা: ০৩-০৮-২০২৫ তারিখে বয়স ১৮ হতে ২৩ বছর (জন্ম তারিখ ০৪-০৮-২০০২ হতে ০৩-০৮-২০০৭ এর মধ্যে হতে হবে)। বয়স গণনার ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণ যোগ্য নয় (পুরুষ ও মহিলা প্রার্থী উভয়ের জন্য প্রযোজ্য)।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
পরীক্ষা | জিপিএ |
---|---|
এসএসসি (SSC) বা সমমান | ৩.০০ |
এইচএসসি (HSC) বা সমমান | ২.৫০ |
শারীরিক যোগ্যতা (ন্যূনতম):
বিবরণ | পুরুষ প্রার্থী | মহিলা প্রার্থী |
---|---|---|
উচ্চতা | ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি | ৫ ফুট ২ ইঞ্চি |
ওজন | ৪৯.৮৯৫ কেজি | ৪৭.১৭৩ কেজি |
বুকের মাপ | স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি | স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি |
দৃষ্টিশক্তি | ৬/৬ | ৬/৬ |
আবেদন প্রক্রিয়া:
আপনি যদি একজন যোগ্য ও আগ্রহী প্রার্থী হন তাহলে বিজিবির ওয়েবসাইট joinborderguard.bgb.gov.bd এ প্রবেশ করে ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ ১০:০০ ঘটিকা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:
- আবেদনের শুরু সময়: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ ১০:০০ ঘটিকা।
- আবেদনের শেষ সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাত ১২ টা।
এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করার জন্য নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। শুভকামনা রইল! 📢
(Due to technical issues, the search service is temporarily unavailable.)
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি): দেশের সীমান্ত রক্ষার অগ্রদূত
বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বাহিনীটি শুধুমাত্র সীমান্ত রক্ষাই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, চোরাচালান রোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই আর্টিকেলে আমরা বিজিবির ইতিহাস, কার্যক্রম, ভূমিকা এবং এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কি?
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাংলাদেশের একটি আধা-সামরিক বাহিনী, যার মূল দায়িত্ব হল দেশের স্থল সীমান্ত রক্ষা করা। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে কাজ করে এবং দেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে। বিজিবি শুধু সীমান্ত রক্ষাই নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক কাজেও অংশ নেয়।
বিজিবির ইতিহাস
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। তবে এর আগে এটি বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই বাহিনীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতার পর এটি বাংলাদেশ রাইফেলস নামে পরিচিতি পায় এবং সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে থাকে। ২০০৯ সালে বিডিআর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয় এবং এর কার্যক্রম আরও আধুনিক ও পেশাদার হয়ে ওঠে।
বিজিবির প্রধান কার্যক্রম
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান কার্যক্রমগুলি নিম্নরূপ:
- সীমান্ত রক্ষা: বিজিবির প্রধান দায়িত্ব হল বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত রক্ষা করা। এটি ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- চোরাচালান রোধ: বিজিবি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাদক, অস্ত্র, পশুপাখি এবং অন্যান্য অবৈধ পণ্য চোরাচালান রোধে তারা সক্রিয়।
- মানব পাচার প্রতিরোধ: বিজিবি মানব পাচার রোধে কাজ করে এবং সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার কাজ: বিজিবি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে অংশ নেয়। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগে তারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
- সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ: বিজিবি সীমান্ত এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও অংশ নেয়। তারা স্কুল, হাসপাতাল নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।
বিজিবির ভূমিকা ও গুরুত্ব
বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষায় বিজিবির ভূমিকা অপরিসীম। দেশের সীমান্ত এলাকাগুলো প্রায়ই চোরাচালান, মানব পাচার এবং অন্যান্য অপরাধের শিকার হয়। বিজিবি এই অপরাধগুলি রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, বিজিবি সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে।
সীমান্ত নিরাপত্তা
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলো বেশ সংবেদনশীল। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা প্রায়ই চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। বিজিবি এই সীমান্ত এলাকাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখে এবং যেকোনো ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
চোরাচালান রোধ
বিজিবি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাদক, অস্ত্র, পশুপাখি এবং অন্যান্য অবৈধ পণ্য চোরাচালান রোধে তারা সক্রিয়। বিজিবির সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় টহল দিয়ে চোরাচালানকারীদের ধরতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করে।
মানব পাচার প্রতিরোধ
মানব পাচার একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায়। বিজিবি মানব পাচার রোধে কাজ করে এবং সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীদের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে। তারা সীমান্ত এলাকায় টহল দিয়ে পাচারকারীদের ধরতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার কাজ
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগে বিজিবি উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে অংশ নেয়। তারা মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে কাজ করে।
সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ
বিজিবি শুধু সীমান্ত রক্ষাই নয়, বরং সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে। তারা স্কুল, হাসপাতাল নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে। এছাড়াও, তারা সীমান্ত এলাকার মানুষের জন্য বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
বিজিবির প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্ব
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের উচ্চমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারা সীমান্ত রক্ষা, চোরাচালান রোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার কাজের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ পায়। বিজিবির সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদার এবং তাদের কাজের প্রতি নিবেদিত।
বিজিবির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
বিজিবির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। এখানে সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যেমন:
- সীমান্ত রক্ষার কৌশল
- চোরাচালান রোধের কৌশল
- মানব পাচার প্রতিরোধের কৌশল
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার কাজের কৌশল
বিজিবির ভবিষ্যৎ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। দেশের সীমান্ত রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিজিবি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও অংশ নেবে। বিজিবির সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্ব আরও উন্নত হবে, যা দেশের সীমান্ত নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে।
বিজিবির উন্নয়ন পরিকল্পনা
বিজিবির উন্নয়ন পরিকল্পনায় রয়েছে:
- সীমান্ত এলাকায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
- সদস্যদের প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন
- সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সম্প্রসারণ
উপসংহার
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজিবি শুধু সীমান্ত রক্ষাই নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, চোরাচালান রোধ, মানব পাচার প্রতিরোধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার কাজেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিজিবির সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদার এবং তাদের কাজের প্রতি নিবেদিত। বিজিবির উন্নয়ন ও সাফল্য দেশের সীমান্ত নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।